আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কালিবাড়ী বাজারে সবজির দামে হঠাৎ ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজির দামই চড়া। বর্তমানে পটল কেজিপ্রতি ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা এবং পেঁপে কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ, যার কেজি প্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, বর্ষার অতিবৃষ্টির কারণে মরিচের গাছে মড়ক দেখা দিয়েছে। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক কম। এ কারণে দামে আগুন লেগেছে। তারা আরও জানান, ঘাটতি পূরণে ভারত থেকেও কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে।
মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষ। সীমিত আয়ে এমন দাম দিয়ে বাজার করা অসম্ভব। হঠাৎ করে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বাজেট ভেঙে পড়েছে।”
তবে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে আলুর দাম। বর্তমানে আলু কেজিপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাধারণের নাগালে রয়েছে।
খুচরা বিক্রেতারা এর জন্য দায়ী করছেন পাইকারি বাজারকে। তাদের দাবি, পাইকারি বাজারে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হওয়ায় খুচরায়ও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে তাদের লাভ খুবই সামান্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদন হ্রাসই এ পরিস্থিতির মূল কারণ। তারা মনে করেন, দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।





