
রাজু আহাম্মেদ, কুড়িগ্রাম:
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে চর রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর।
কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের সমস্ত প্রশাসনিক দপ্তর পানিতে প্লাবতি হয়েছে, ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। একই সঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন আশপাশের বিভিন্ন আবাসিক এলাকার মানুষ। বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবখানেই পানি আর পানি।
এদিকে পানিবন্দি থেকে উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের। এতে সরকারি অফিস ও হাসপাতালের সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
নাঈম নামের এক শিক্ষার্থী জানান,বন্যায় ঘরে পানি উঠেছে তাই পড়াশোনা করার মত ঘরে কোন পরিবেশ নাই। পরীক্ষা দিতে তাকে অনেক পানি পার হয়ে আসতে হয়।
রাজিবপুর উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল হাসান জানান,উপজেলা প্রাঙ্গণেও বন্যার পানি ডুকে গেছে এতে করে খামারিদের গরু ও ছাগল নিয়ে আসতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার গবাদি প্রাণী নিকটতম আশ্রয় কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে,গবাদি প্রাণী ১২৫০, হাস মুরগী ১৫০০
বন্যা প্লাবিত এলাকায় আমাদের জরুরি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বিনামূল্যে চিকিৎসা ঔষধ বিতরণ করছে।
রাজিবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রতন মিয়া জানান, যে বন্যা হয়েছে তাতে ১৫২৭ পনেরো শত সাতাইশ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে।
রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ বলেন, উপজেলার প্রায় অফিসের সম্মুখসহ আশপাশের সড়কগুলোতে প্রায় ১ ফুট পানি। তিনি নিজে পানিবন্দি ০৪ জুলাই থেকে। উপজেলা অফিসের সামনেও পানি। সেখানে নানা দুর্ভোগ সয়ে নিয়ে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আলম জানান, ‘উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও খাবার সহায়তা নিশ্চিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি সমাজের যারা বৃত্তবান রয়েছেন তারাও যেনো বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থাকেন।’