রাজু আহাম্মেদ, জেলা প্রতিনিধি :
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র্র গঠনের দাবীতে কুড়িগ্রামে ফিলিস্তিনি পতাকার আদলে ঘুড়ি উড়িয়েছে স্থানীয় যুবকরা।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পাড়ে ফিলিস্তিনি পতাকার আদলে ঘুড়ি উড়ানো হয়। আয়োজকেরা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। মুসলমানরাও তাই শান্তিতে বিশ্বাস করে। আমরা সংঘাত চাই না। কিন্তু বিশ্ব শান্তির আড়ালে মোড়ল রাষ্ট্রের দ্বিমুখী আচরণ দখলদার ইসরাইলকে মারমুখী করে তুলেছে। তারা সেখানে নির্বিচারে শিশু থেকে বৃদ্ধ নর-নারীকে হত্যা করছে। এনিয়ে বিশ্ব সংস্থা থেকে অনেক দেশ এগিয়ে আসছে না।
তারা আরও বলেন, আমরা মুসলমান আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। তিনি আমাদের সাহায্য করবেন। মুসলমানদের বিজয় সুনিশ্চিত হবেই। আর তাই ফিলিস্তিনের পতাকার আদলে ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্ব বাসকে জানিয়ে দিলাম। ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত ফিলিস্তিনের মানুষের বিজয় সুনিশ্চিত।
ধরলা ব্রিজ পাড়ের ব্যবসায়ী আবু মিয়া বলেন, আজ দেখলাম কিছু ছেলে ফিলিস্তিনের আদলে পতাকা লাগিয়ে ঘুড়ি উড়িয়েছে। পরে জানতে পারলাম ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে অনেক মোসলমানরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ কারণেই তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় এলাকার আয়োজক ফজলে রাব্বি বলেন,
ফিলিস্তিনি আদলে এই ঘুড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ১ মাস। ঘুড়িটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ফিটেরও বেশি। কয়েকদিন আগে ঘুড়িটি রেডি হয়েছে, কিন্তু বাতাস না থাকায় উড়াতে পারি নাই।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলছে। কিন্তু গ্রামের সহজসরল মানুষগুলো তা জানে না। তাই ঘুড়িতে
ফিলিস্তিনের আদলে পতাকা লাগিয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে তাদেরকে জানানোর চেষ্টামাত্র। কেননা ফিলিস্তিনির মুসলমানরা নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করছে।