রাজু আহাম্মেদ, জেলা প্রতিনিধি:
গ্রীষ্মের তাপদাহ ও খড়ায় পুড়ছে কুড়িগ্রাম। আবহাওয়ার পরিস্থিতির কারণে মানুষের নাভিবিশ্বাস এখন চরমে। বৃষ্টি না হওয়ার নদী নালা, খাল বিল প্রায় পানি শূন্য। ফসলের মাঠ ফেঁটে চৌঁচির হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন শুধু স্বস্তির বৃষ্টি। তাই এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট দুই রাকায়াত বিশেষ নামায (ইস্তিসকার) আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে সদরের পাঁছগাছী ইউনিয়ন বাজার ঈদগাহ মাঠে কয়েক শত ধর্মপ্রান মুসল্লী সমবেত হয়ে বিশেষ নামাজে অংশগ্রহন করেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিশেষ নামাজে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন।
মোনাজাতে অংশ নেয়া মুসল্লিগন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া করেন। দোয়া করার সময় পাঞ্জাবি ও টুপি উল্টো করে পড়েন মুসুল্লিগণ।
অপর দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়, ‘কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। তবে আপাতত তাপমাত্রা কমার কোন সম্ভাবনা নেই।’
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় বেলগাছা ইউনিয়নের হরিরাম দাখিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৮:৩০ মিনিটে মাওলানা উমর আলীর ইমামতিতে বৃষ্টির প্রার্থনা করে মুসল্লীরা সালাতুল ইস্তিকার নামাজ আদায় করেন।
বেলগাছা নীলকন্ঠ গ্রামের মুসল্লী আ:সাত্তার বলেন, মোর ৫০ বছর বয়সে এমন গরম দ্যাখোং নাই বাবা। গরম হাত থাকি বাঁচার জন্যে আইজ বিশেষ নামাজ আদায় করলোং। আল্লাহ পাক যেন বৃষ্টি দেয় পরিবেশটা যেন ঠাণ্ডা হয়। ‘
এদিকে কাঁঠালবাড়ি হাইস্কুর মাঠে সকাল ৯ টায় বিশেষ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মাঝবিল ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে বিশেষ নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
হাবিবুর রহমান নামের আরও এক মুসুল্লি বলেন, সারাদেশে যে তীব্র দাবদাহ চলছে। এর পরিপ্রক্ষিতে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম এবং ইস্তিসকার নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ তালা যেন রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন জমিনে।
বিশেষ নামাজে মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানাগণ বলেন, তীব্র খড়ার কারণে দাবদাহ সৃষ্টি ফলে পরিবেশের উপর প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই না তীব্র তাপদহের কারণে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১ সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃষ্টির হয়ে পরিবেশ শান্ত হোক এ কামনায় আমরা বিশেষ নামাজ আদায় করলাম।