শ্রীঅঙ্গনে ঢুকে কীর্তনরত আট সাধুকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী
ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শহরের শ্রী জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রম শ্রীঅঙ্গনে আট সাধু’র ৫৩ তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সদস্যরা শহরের গোয়ালচামট এলাকার শ্রী জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রম শ্রীঅঙ্গনে ঢুকে কীর্তনরত সংসার ত্যাগী আট সাধুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এ নির্মম ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ৫৩ বছর পার হলেও এ ঘটনা আজও ভুলতে পারেনি ফরিদপুরবাসী।
আট সাধু হত্যার দিনটি স্মরণ করতে শ্রীঅঙ্গনের মহানাম সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
স্বাধীনতার পরে ওই চালতা গাছ তলায় শ্রীঅঙ্গন কর্তৃপক্ষ আট সাধুর স্মরণে আটটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। সেখানে সকালে পূজা-অর্চনা, গীতাপাঠ ও দুপুরে আট সাধুর স্মরণে আটটি ভোগ প্রদান করা হয়। এছাড়া বিকেলে শ্রীঅঙ্গন চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে আট সাধুর স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় শ্রী অঙ্গনের সহ সম্পাদক শ্রীমৎ পরাশর বন্ধু ব্রহ্মচারী সহ শ্রীঅঙ্গনের সাধুরা, জাসদ ও বিপ্লবী কর্নেল তাহের মঞ্চ’র সদস্যরা। পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
ফরিদপুর শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক ড. নিকুঞ্জ বন্ধু ব্রক্ষ্মচারী জানান, সেদিন সন্ধ্যা আরতির সময় হানাদার বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়ে কীর্তনব্রত ব্রহ্মচারী, নিদান বন্ধু ব্রহ্মচারী, অন্ধকানাই ব্রহ্মচারী, বন্ধুদাস ব্রহ্মচারী, ক্ষিতিবন্ধু ব্রহ্মচারী, গৌরবন্ধু ব্রহ্মচারী, চিরবন্ধু ব্রহ্মচারী ও রবিদাস ব্রহ্মচারীকে হত্যা করে। পরে শ্রীঅঙ্গন প্রধান মন্দির সংলগ্ন চালতা গাছতলায় তাদের সমাধি দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, আট সাধু হত্যার দিনটি স্মরণ করতে শ্রীঅঙ্গনের মহানাম সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন, পূজা-অর্চনা, গীতাপাঠ ও দুপুরে আট সাধুর স্মরণে আটটি ভোগ প্রদান করা হয়। এছাড়া বিকেলে শ্রীঅঙ্গন চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।