ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর থার্ড অফিসার ফরিদপুরের তারেকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে আনন্দের জোয়ার বইছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে তারেকুলের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ছকড়িকান্দি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেলো সকলের মুখে হাসি। বাড়িতে এসেছেন প্রতিবেশি আত্মীয়স্বজন।
বাড়ির ভিতরে গিয়ে প্রবেশ করে দেখা গেলো তারেকুলের পিতা দেলোয়ার হোসেন বাড়িতে নেই। মা হাসিনা বেগম পাশ^বর্তী বাড়িতে গেছেন বেড়াতে।
কিছুসময় পর ফিরলেন দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী। ঘরে ঢুকতেই মুখে হাসি। একদিন আগেও তাদের মুখ ছিল মলিন। ছেলের মুক্তির খবরে মুখে ফুটেছে হাসি।
তারেকুলের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানালেন, রোববার ভোররাত চার টার দিকে তার ছেলে তারেকুল তাকে ফোনে জানিয়েছে বাবা আমি এখন মুক্ত। সোমালিয়া থেকে জাহাজে দুবাইয়ের উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছে। এরপর আল্লাহুর প্রতি শুকরিয়া জানিয়ে সকালে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন তিনি। এছাড়া নৌ-মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সরকারের সকল দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারেকুলের বাবা। ২১ মার্চ অপহরনের পর থেকে ছেলের মুক্তির সংবাদের ফোনের অপেক্ষায় দিন কেটেছে তাদের। কতই না দুশ্চিন্তায় সময় করেছে তারা। ঈদের আনন্দ ছিলনা পরিবারটির। ভবিষ্যতে যেন এমন অপহরনের সংবাদ আর যেন তাদের শুনতে না হয়, সে ব্যপারে জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সকল কে সতর্ক থাকার অনুরোধ তার।
তারেকুলের মা হাসিনা বেগম জানালেন, ছেলে মুক্তি পেয়েছে খবর পেয়ে জীবন ফিরে পেলাম। ছেলেকে ফিরে পেতে মসজিদে মিলাদ ও মানত করেছিলাম। সরকার সহ দেশবাসীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ছেলে, সন্তানদের মুক্তির সংবাদে আজ সকল মায়ের বুক আনন্দের ভরে গেছে। এখন ছেলে দেশে আসতে কয়েকদিন সময় লাগলেও আগের মত গত ৩১ দিনের মত দুশ্চিন্তায় দিন পার করতে হবে না।