
রাজু আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার উৎসাহীপুর কেরামতিয়া বালিকা মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড় চেরেঙ্গ গ্রামের এরশাদুল হকের মেয়ে মোছা. আশা মনি আক্তার গত ১-১-২০২১ সালে উৎসাহিরপুর কেরামতিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকে ২০২২ সালে পযর্ন্ত উপবৃত্তির টাকা ০১৭২৬-৬৭-৫৮-৮৭ নম্বরে পেয়ে আসছেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ মোতাবেক বিকাশ হিসাবকে নগদে রূপান্তরিত করার সময় অত্র মাদ্রাসা এরশাদুল হকের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে
০১৭৪৫-৭৯-৯৩-৯৯ নম্বর উপবৃত্তির টাকা আসে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত নম্বরটি আব্বাস আলী নামে এক ব্যক্তির রেজিস্টার করা সিম। অনেকে অভিযোগ করেন শুধু আশা মনি নয় এরকম আরো অনেক শিক্ষার্থী মাদ্রাসার উপবৃত্তির টাকা পায় না।
এ নিয়ে মাদ্রাসা সুপারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে উল্টো তিনি আশা মনির পিতাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেন। এমতাবস্থায় এরশাদুল হক গত ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকসহ সদর ইউএনও, দুর্নীতি দমন কমিশন, সেনা ক্যাম্প ও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার বরাবর ডাকযোগে অভিযোগ পৌঁছে দেন।
নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, ‘ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মাদ্রাসাটি বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। কাম্য শিক্ষার্থী নেই। নেই ইবতেদায়ী শাখায় কোন শিক্ষার্থী। স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বলে আমরা কোন অভিযোগ করি নি। উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি।’
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আ. মান্নান বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীর বাবাকে ডেকে এনে পূর্বের ২কিস্তির ২৪০০ টাকা দিয়েছি। নম্বর পরিবর্তন করে তার নম্বরটি নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশ দিয়েছি।’
এরশাদুল হক বলেন, ‘আমাকে কখনো কোন টাকা পয়সা দেয়া হয়নি বরং আমি মাদ্রাসায় গেলে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছিলেন সুপার এবং মাদ্রাসার শিক্ষক খালেক হুজুর বলে আপনি বারবার বেয়াদবের মত প্রতিষ্ঠানে আসেন কেন?’
শিক্ষা অফিসার অফিসার শামসুল আলম বলেন,’ আমি এখনো অভিযোগ হাতে পাই নি। আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। যদি এ ধরনের কাজ হয়ে থাকে তাহলে আমি অবশ্যই সেটা ক্ষতিয়ে দেখব।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন,’অভিযোগ পাঠিয়ে দেন আমি দেখে ব্যবস্থা নিব।’