শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৪

কুড়িগ্রামে মাদ্রাসা সুপারের নিয়োগ বাতিলে কক্ষে তালা ও সড়ক অবরোধ

রাজু আহাম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের নুরুল্লাহ ফাজিল সিনিয়ার  মাদ্রাসায় সুপার নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধভাবে হয়েছে বলে আজ দুপুরে ছাত্র-ছাত্রীরা ৫ দফা দাবী আদায়ে  মাদ্রাসা পক্ষে তালা এবং সড়ক অবরোধ করেন। 

আজ সোমবার (৩০সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ৫ দফা দাবি পেশ করে। ছাত্ররা জানান, বর্তমান সুপার নুর আলম সিদ্দিকী অন্য একটি মাদ্রাসায় এখনো কর্মরত আছেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের তার কোন বৈধ  কাগজপত্র নেই। আমরা আমাদের দাবি আদায়ের রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ করছি। পরে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ  শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে আসেন এবং একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের নিকট সাক্ষাৎ করেন।

মাদ্রাসা সুত্রে  জানা যায়, বর্তমান সুপার তিনি পূর্বের মাদ্রাসায় অব্যাহতি পত্র না দিয়ে বর্তমান মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন।  মাদ্রাসা অধিদপ্তরের অনুমোদন না হওয়ার পরেও পূর্বের মাদ্রাসার ইনডেক্স বর্তমান মাদ্রাসায়  ব্যবহার  করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে সহ-সুপার মেহের আলী একটি জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা করেছেন। মামলা নং ৮৬২৪। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকবছর ধরেই মাদ্রাসায় নেই কোন নিয়ম-শৃঙ্খলা। মাদ্রাসায় পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। মেয়েদের নামাজ ঘরের ভালো ব্যবস্থা নেই। খেলাধুলার উপকরণ নেই।  এই মাদ্রাসায় সঠিকভাবে পড়ালেখাও হয় না। আমরা জানতে পারি যে, সুপারের নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র নেই।   জেলা প্রশাসক তাকে ১০ দিনের ছুটি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রসহ ১০ দিন পরে তদন্ত সাপেক্ষে যোগদান করতে বললেও  তিনি ছুটি পরবর্তী যোগাদান করেন নি।

মাদ্রাসার ফাজিল ১ ম বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আমাদের আতিক হুজুর ফোনে বলেছেন মাদ্রাসায় ঝামেলা হচ্ছে তোমরা আস। সহকারী সুপার মেহের মওলানা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা  দিয়েছেন। আমরা জানতে পারি,আমাদের বর্তমান সুপারের নিয়োগ অবৈধভাবে হয়েছে। সেই সাথে  তিনি রাজারহাট উপজেলার চান্দামারী ফাজিল মাদ্রাসায়ও কর্মরত আছেন। আমরা  জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করি। 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাসেল বলেন,’আমাদের মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস হয় না। খেলা নেই, খেলার উপকরণ নেই। আমরা খেলার উপকরণ চাইতে গেলে আমাদের বলে টাকা  নেই।’ 

মাদ্রাসা সুপার নুর আলম সিদ্দিকীকে বার বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক মোছা. নুসরাত সুলতানার মোঠফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায় নি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
আরও
- Advertisement -spot_img