ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনার সময় হঠাৎ করেই দাম করে যায় ইলিশের। কেজিতে ২শ থেকে ৩শ টাকা কমে এসময় ইলিশ বিক্রি হয়। এছাড়া বেশ কিছু অনিয়নে ২ টি মাছের ও ডিমের আড়ত কে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজারে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ইলিশের ভরা মৌসুম থাকলেও দাম বৃদ্ধি থাকায় ইলিশের আড়ত , পাইকারী ও খুচরা ব্যাবসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অভিযানের পর ইলিশের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
এছাড়াও অভিযানে ডিমের দামে কারসাজি করা, ডিমের ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকা, মূল্য তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে বাদশা মিয়া ভ্যারাটিজ ষ্টোরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দিকে ইলিশের আড়তে পাকা ক্রয় রশিদ না থাকা, ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেশি নেয়া ও বিমল দত্ত মৎস্য আড়তকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয় এবং সতর্ক করা হয়।
অভিযানের ফলে ইলিশের দাম প্রকারভেদে ১৪০০ টাকা থেকে কমে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে যায়। পাকা ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং ইলিশের বাজারে সিন্ডিকেট যেন না হয় মর্মে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করা হয়।
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ জানান, অস্থির হয়ে ওঠা ডিমের ও ইলিশের বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে ফরিদপুর শহরের হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজার সহ বিভিন্ন বাজার তদারকিও করা হয়।
এ সময় ডিমের দামে কারসাজি করা, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকা, মূল্যতালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে বাদশা মিয়া ভ্যারাটিজ ষ্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বিমল দত্ত ইলিশ ব্যাবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তিনি আরো জানান, বাজার তদারকি ও জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ফরিদপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ব্যাটালিয়ন আনসার এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।