আতিকুজ্জামান, শার্শা (যশোর) : পরিবারের সচ্ছলতা আনতে ১০ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শার্শা উপজেলার কূলপালা গ্রামের আজমুল হোসেন(৩৩ )। গত জুন মাসের ২৬ তারিখে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হন, মালয়েশিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর লাশ দেশে আসার পর আজ শুক্রবার (১২) জুলাই সকালে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
মৃত আজমুল ১০ নং শার্শা ইউনিয়নের কুলপালা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে তাঁর লাশ নিজগ্রাম কুল পালাতে এসে পৌঁছায়। সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। তাঁকে এক পলক দেখার জন্য ছুটে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ।
আজমুল হোসেনের ভাই শরিক হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই দীর্ঘদিন মালয়েশিয়াতে ছিলেন। সেখানে প্রায় ১০ বছর অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ২৬ জুন হঠাৎ শুনতে পাই আমার ভাই রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন, এ সময় পিকআপ ভ্যান এসে ধাক্কা মেরে চলে যায়, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। আমার ভাই লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা দ্রুত কাগজপত্র সেখানে প্রেরণ করি। আজ সকাল ৮ টায় লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সহকর্মীদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রেখেছিলাম। তারা দ্রুত লাশ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এজন্য তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’
আজমুল হোসেনের বড় ভাই আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করছিলেন। আমি বড় অথচ সে আমার আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেল।