এ.কে পলাশ, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কুমিল্লার চার উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ব্রাহ্মণপাড়া এবং দেবিদ্বারে নির্বাচিত হয়েছে দুই নতুন মুখ। বুড়িচং ও মুরাদনগরে সাবেক দুই চেয়ারম্যানের উপরই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা।
বুধবার (২৯ মে) রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেনের দেওয়া বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলার চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৮৭ টি ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার বাঁছির খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৩ টি ভোট।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মতো ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বর্তমান কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবু জাহের এর ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি ৪৩ হাজার ৬৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭০ টি ভোট।
মুরাদনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৮৪ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
দেবিদ্বার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এর ছোট ভাই মামুনুর রশীদ (মামুন) প্রথমবারের মতো আনারস প্রতীক নিয়ে ৯২ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে শাহিদা আকতার পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৬৩১ টি ভোট।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ভোটের পরিবেশ নিয়ে নানা শঙ্কা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের তৎপরতার কারণে কোন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চার উপজেলায় গড়ে ৩০ শতাংশের অধিক ভোট পড়েছে।
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কুমিল্লার চার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণের শুরুতে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করেন প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ থাকলেও ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চার উপজেলাতেই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।