মো: আতিকুজ্জামান, বেনাপোল (যশোর): যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কাগজপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আলোচিত রেশমা হত্যায় জাফর ও টিটু নামে আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
আটককৃত আসামী- রেশমার স্বামী বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কাগজপুকুর (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে মোঃ জাফর হোসেন (২৫) ও জাফরের বন্ধু একই গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকার মৃত মোসলেম মোড়ল ছেলে টিটু মোড়ল (৩০)।
থানা পুলিশ জানায়, গত ৩ মার্চ রাতে আলোচিত রেশমা হত্যা সংঘটিত হয় এবং ১১ মার্চ রেশমার লাশ কাগজপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১২ এপ্রিল হত্যা কান্ডে ১নং আসামি ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে হত্যাকারীদের খুজতে পুলিশি সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেয়ে ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার গোড়পাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেশমার স্বামী জাফর ও তার বন্ধু টিটু’কে গ্রেফতার করে।
আসামী জাফর ও টিটু পুলিশের কাছে স্বীকার করে, রেশমা হিজড়ার স্বামী জাফরের অবস্থানের বিষয়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ফারুক তাকে সাথে নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কাগজপুকুর সাকিনস্থ কাগজপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানের পশ্চিম পাশে জৈনিক আব্দুল ওহাবের আম বাগানে নিয়ে এসে পরিকল্পনা মাফিক ফারুক জাফরের স্ত্রী রেশমা হিজড়ার মাথায় লোহার রড দিয়ে স্বজোরে আঘাত করে। এরপর ঘটনায় জড়িত থাকা আরেকজন দা দিয়ে রেশমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একেরপর এক আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তারপর আটক আসামি টিটু রেশমার কাঁধে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগের ফিতা দিয়ে গলায় প্যাচ দিয়ে ধরে। এরপর কয়েকজন আসামী রেশমার হাত-পা, মুখ চেপে ধরে এবং অন্য আসামী দা দিয়ে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করে। হত্যার পর তারা লাশ পাশ্ববর্তী কাগজপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানের উত্তর পশ্চিম কোনে তিন ফুট মাটি গর্ত করে পরিহিত বস্ত্রসহ উপুড় করে পুতে রেখে চলে যায়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, আটক আসামীদের পুলিশ প্রহরায় যশোর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।