মঙ্গলবার, অক্টোবর ৮, ২০২৪

বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ১১টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত


এম আমির হোসাইন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: এবার ঈদে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ১১টি স্থানকে যানজট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে যানবাহন থেমে না থাকার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহন করেছে বরিশাল জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ।
কোন টোল ঘরের কারণে যানজট সৃষ্টি হলে প্রয়োজনে সেখানে যানবাহনের টোল ফ্রি করে দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম। ঈদে মহাসড়কে যানজট নিরসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানান তিনি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য মতে, বরিশালের গৌরনদীর ভুরঘাটা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত ১শ’৫৯ কিলোমিটার মহাসড়কের অপেক্ষাকৃত সরম্ন একাধিক স্থান রয়েছে। যা এরই মধ্যে পুলিশের নজরে আনা হয়েছে বলে বলে জানান সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান।
তিনি বলেন, বরিশালের ১শ’৫৯ কিলোমিটার মহাসড়ক ঘিরে একটি মহানগরী, ২টি জেলা, ১১টি উপজেলা ও ১৭টি হাট-বাজার রয়েছে। এর মধ্যে গৌরনদীর মাহিলারা, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ, রূপাতলী ও সাগরদি এলাকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্থানে যদি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ় করা যায়, তবে এবারে ঈদ যাত্রায় কোথাও গাড়ির চাকা থামবে না, যাত্রা হবে নির্বিঘ্ন।
এদিকে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্বে বরিশাল থেকে সর্বোচ্চ ২০ নামে দেড় শতাধিক দূরপালস্নার গাড়ি চলতো। পদ্মা সেতু চালুর পর এখন ৫৫ নামে প্রায় ৬০০ দূরপালস্নার গাড়ি চলছে। তবে ঈদের সময় এ সংখ্যা আরো দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়। ফলে এ সময় গাড়ি চলাচলের হিসাব থাকে না। গাড়িগুলো কে কার আগে যাবে সেই প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সড়কে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে-পরে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ, সাগরদী ও রূপাতলী এলাকাসহ জেলার গৌরনদী, বাটাজোর, টরকী, ইচলাদি মিলিয়ে ১১টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ হাজার যানবাহন অতিক্রম করে।
এর মধ্যে ৩টি স্থানে ব্রিজ টোলঘর রয়েছে । শুধুমাত্র ঈদে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকা চিহ্নিত করে ট্রাফিক পুলিশের সাথে অতিরিক্ত প্রায় ৩শ’৫০ জন সাধারণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবারে যানজটকে জিরো ট্রলারেন্স হিসেবে দেখা হচ্ছে। যানজটের কারণে ঈদ যাত্রীরা যাতে ভোগাšিত্মতে না পড়ে সে দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। টোল পস্নাজার কারণে ন্যূনতম যানজটের সৃষ্টি হলে প্রয়োজনে যানবাহনের টোল ফ্রি করে দেয়া হবে। এ রমজানে সব ধরনের যানজট ঠেকাতে ট্রাফিক ইউনিটের সাথে ১শ’৫০ জন জনবল আলাদা ডিউটি দিয়েছি।
অপরদিকে সহনীয় ঈদ যাত্রাকে সামনে রেখে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্যস্ত এলাকাগুলোকে ৩টি জোনে বিভক্ত করেছে। ৩জন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিন। তাদের নেতৃত্বে এরই মধ্যে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এবারের ঈদে যানজট মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
আরও
- Advertisement -spot_img