রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যুর পরে মারা গেলো ছেলেও

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দিতে অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপায় বাবার মৃত্যুর পরেও ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত ১১টার দিকে মারা যায আহতৃ ছেলে। এর আগে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মাঝকান্দির মাজেদা জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন তার বাবা।

নিহত ওই ব্যক্তিরা হলেন, শংকর মালো (৪২) ও ছেলে অন্তর মালো (২০)। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার ভাটি কানাইপুর গ্রামে। নিহত শংকর ওই গ্রামের মলিন মালোর ছেলে। 

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন শংকর মালো। আর তার ছেলে অন্তর মালোকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর রাতে সেও মারা যায়। একটি মোটর সাইকেলযোগে তারা মধুখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। তবে কিভাবে কিসের সাথে এই দুর্ঘটনা ঘটে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাড়ছে রহস্য: রাতের আধারে মোটরসাইকেল যোগে শংকর মালো ও তার ছেলে অন্তরের মৃত্যুর ঘটনা কি শুধুই সড়ক দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোন কারণ জড়িত তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। একসাথে বাপ-বেটার মৃত্যুর পরে এ বিষয়টি উঠে আসে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত শংকর শহরের একটি জুয়েলারি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। দুই বছর আগে ডিবি পুলিশের একটি দল ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দিতে বিপুল পরিমাণ সোনার গহনা সহ শংকর ও এক নারীকে আটক করে। রোববার রাতে তারা যেই মোটরসাইকেলটি চালিয়ে মাঝকান্দির পথে যাচ্ছিলেন সেটি ২ লাখ ৫৩ লাখ টাকা দামের একটি ইয়ামাহা এফজেড থ্রী মডেলের মোটরসাইকেল। শহরের যেই জুয়েলারি দোকানের হয়ে তারা কাজ করতেন সেই মালিকই তাদের কাজের সুবিধার্থে বাইকটি কিনে দেয়। রাতের আধারে রোববার রাতে তারা কি কারণে ওই পথে যাচ্ছিলো এই রহস্য উদ্ঘাটনের সাথে কিভাবে কিসের সাথে এ দুর্ঘটনা ঘটে সেটি জানা গেলে পুরো রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
আরও
- Advertisement -spot_img