মো. রফিকুল ইসলাম খান, পাইকগাছা :
খুলনার পাইকগাছা-দাকোপ উপজেলা’র আন্তঃজেলা শিবসা নদীর খেয়া পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ বরুইতলা খেয়াঘাট সংস্কার হলেও অপরপ্রান্তে মোজামনগর অংশে ঘাট রয়েছে বেহাল দশায়।
এরই মধ্যে সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান গাজীর তত্বাবধানে এক লক্ষ টাকা ব্যয় করে বরুইতলা খেয়াঘাট সংস্কার করে যাত্রী পারাপারের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।
জানাগেছে, আন্তঃজেলা এ খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ নদী পারাপার হয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন দু’পারের খেয়াঘাটের বেহাল দশায় যাত্রী পারাপারে মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দু’পাড়ের বাঁশের পাটাতনের খেয়াঘাট দিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মটরসাইকেল যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে পারাপার হয়।
অনেক সময় বিশেষ করে নদীতে ভাটা থাকলে মটরসাইকেল যাত্রীরা পড়েন বিপদে। নদীতে জোয়ার না হওয়া পর্যন্ত এসব যাত্রীরা ট্রলার থেকে মটরসাইকেল উপরে তুলতে পারেন না।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, আন্তঃজেলা এ খেয়াঘাট থেকে প্রতিবছর অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। অথচ খেয়া ঘাটের অবস্থা রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ।
ইতোপুর্বে যাত্রী পারাপারে পাঁকাঘাট করা হলেও কিন্তু তা নদীগর্ভ চলে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন,বিভিন্ন সময় জনগুরুত্বপূর্ণ বরুইতলা-মোজামনগর খেয়া-ঘাট সংস্কার করা হলেও শিবসা নদীর প্রবল স্রোতে মাটি সরে যাওয়ায় খেয়া-ঘাট টেকসই হয়নি।
দাকোপের মোজামনগরের বাসিন্দা ঘাট ইজারাদার ইসমাইল সানা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ঘাটটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেছি, কিন্তু ভালো ফলাফল হয়নি।
খেয়া মাঝি সাইফুল্লাহ বলেন, প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে শত শত মানুষ পার হয়। কিন্তু দু’পাড়ের ঘাট খারাপ হওয়ায় তাদের চরম দুর্ভোগ পেতে হয়। আমরা চাই দ্রুত দুটি ঘাট সংস্কার করা হোক।
এ সম্পর্কে পাইকগাছার সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, ঝুকিপূর্ন খেয়া ঘাট সম্পর্কে সাংবাদিকরা লেখালেখি করেন। এর পর সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন এর হস্তক্ষেপে এক লক্ষ টাকা দিয়ে বরুইতলা ঘাটটি সংস্কার করে যাত্রী পারাপারের পরিবেশ করা হয়েছে।