বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫

শরীয়তপুরে ৪০০ কেজি জাটকাসহ আটক ৬

মো. আব্দুর রহিম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরে জাটকা ইলিশ নিধন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশসহ ৬ জনকে আটক করেছে নৌপুলিশ। পরে জাটকা ইলিশ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত ভোর ৪ টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের মেঘনা নদীর শাখা থেকে জাটকা মাছসহ ৬ জনকে আটক করেছে নরসিংহপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির একটি দল।

নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরকার প্রতিবছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ মাছ নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এসময় জাটকা ইলিশ নিধন, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গরীব জেলেদের লোভ দেখিয়ে দাদন দিয়ে থাকে। দাদনের ঋণ শোধ করতে জেলেরা এসময় জাটকা ইলিশ নিধন করে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সখিপুরের নরসিংহপুর নৌপুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বরিশালের অরাকুল মাছঘাট থেকে দুইটি নৌকাযোগে জাটকা ইলিশ পরিবহন করে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বিক্রয়ের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে নৌ-পুলিশ কুচাইপট্টির সাতপাড়া গ্রামের মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ জব্দ করে। এসময় জাটকা পরিবহনের সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নৌপুলিশ। জব্দকৃত জাটকা ইলিশমাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে।

জাটকা ইলিশ মাছ পরিবহন করতে গিয়ে আটককৃতরা হলেন, বরিশাল জেলার হিজলা থানার আব্দুর রশিদ মাঝির ছেলে শরীফ মাঝি, আবুল হোসেন মাঝির ছেলে শাহিন মাঝি, মুকবুল আহমেদ সরদারের ছেলে আনিছ সরদার ও ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের আবু তাহের ডাক্তারের ছেলে মো. সাগর। বাকি দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

নরসিংহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুচাইপট্টি জাটকা ইলিশ মাছ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নদী পথে নিয়ে যাচ্ছে একদল লোক। পরে অভিযান পরিচালনা করে ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশসহ ৬ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজনের বয়স কম হওয়ায় তাদের মুচলেকা নেওয়া হবে। বাকিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। জাটকা ইলিশ মাছ নিধন বিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
আরও
- Advertisement -spot_img