আসলাম হোসেন, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্ল্যানিং দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদকে সাময়িক বহিষ্কারসহ সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২৮ মার্চ হতে সাময়িক বরখাস্ত এবং একই সাথে সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
রিজেন্ট বোর্ডের সকল সদস্যের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে চিঠি প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.খন্দকার নাসিরুদ্দিন এর খুলনা শিপইয়ার্ড দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে অসহযোগিতা ও বিভিন্ন ক্রয়-প্রকল্পের টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়ে তাকে সাময়িক বহিষ্কারসহ সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৭তম রিজেন্ট বোর্ড সভার ৩৭/২০ নং সিদ্ধান্তে সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন এর সময়ে ক্রয়কৃত আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির বিল ভাউচার যথাযথ আছে কিনা তা পরীক্ষা এবং প্রস্তাবিত কাগজের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে গমন করেন এবং তাঁদেরকে সহযোগিতা করার জন্য তাকে উক্ত স্থানে উপস্থিত থাকার জন্য ট্রেজারার কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান করলেও তিনি সেখানে উপস্থিত হন নি। এতে তাঁদেরকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের যথার্থতা নিরুপণের জন্য চরম অবহেলা ও অসহযোগিতা করেছেন জানিয়ে কমিটির সদস্য ড. মোঃ ফরিদুল আলম অভিযোগ করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম অভিযোগ করেন, তুহিন মাহমুদ উপাচার্যের অনুমোদন ব্যতিরেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নিমিত্তে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে ক্রয় কার্যাদেশ সংক্রান্ত অফিস আদেশসহ বিভিন্ন প্রকার পত্র জারি করেছেন যা সরকারি কর্মচারী আইন পরিপন্থি বলে রিজেন্ট বোর্ডের সকল সদস্য একমত পোষণ করেন। এ প্রেক্ষিতে অভিযোগ পর্যালোচনা ও রিজেন্ট বোর্ডের ৩৮/০৮(ক) নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান বলেন, তুহিন মাহমুদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এছাড়া, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের যথার্থতা নিরুপণের জন্য তাদেরকে অসহযোগিতা এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কিছু চিঠিপত্র ও অফিস আদেশ দেন। যার পরিপেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করি।
এ বিষয়ে জানতে সাময়িক বহিষ্কৃত প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করতে তাকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।