সোমবার, মে ৬, ২০২৪

কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৬শত  টাকা মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি 

রাজু আহাম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

‘গরিব মাইনষের জন্য গরুর মাংস না। প্রশাসন থাকি কম দামে বিক্রির ব্যবস্থা করি সবার জন্য ভালো হইছে। আইজ তিন মাস পর গরুর মাংস কিনলাম। আলু-টালু মিশাল দিয়া অন্তত তিনবেলা খামো।’ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক সমন্বয়কৃত মূল্যে গরুর মাংস কিনে এভাবেই নিজের অনুভুতি প্রকাশ করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘনেশ্যামপুর গ্রামের দিনমজুর আবুল হোসেন। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) যাত্রাপুর হাটে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়কৃত মূল্যে ৬০০ টাকা কেজি দরে এই মাংস বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আবুল হোসেনের মতো অনেক দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকদিন পর গরুর মাংস কেনার সুযোগ পান

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে সমন্বয়কৃত মূল্যে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে গরুর মাংস প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকার দুইশত নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এসব মাংস বিক্রি করা হয়।

সুবিধাভোগীর বলছেন, বাজারে গরুর মাংস ৭২০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে ওই মূল্যে গরুর মাংস কেনা সম্ভব হয় হয়ে ওঠে না। স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে সমন্বয়কৃত ও অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে তারা খুশি। তবে দাম আরও কিছুটা কমে ৫০০ টাকা কেজিতে কেনার সুযোগ দাবি করেন তারা।

দিনমজুর আবুল হোসেন বলেন, ‘ আমরা যে রোজগার করি তাতে গরুর মাংস আমাদের জন্য না। আইজ একটু কম দামে কেনার সুযোগ পাইছি। তবে ৫০০ টাকা কেজি হইলে আমাদের জন্য ভালো হয়।’

আরেক ক্রেতা রেজাউল বলেন, ‘ দিনমজুর হয়ে প্রতিদিন আয় হয় ৪০০ থাকি ৫০০ টাকা।  গরুর মাংস কিনি কেমন করি। তারপরও আইজ একটু কম দাম পাওয়ায় কিনছি। মাঝে মাঝে এমন সুযোগ দিলে অনেকের উপকার হইবে।’

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মুসফিকুল আলম হালিম বিতরণস্থলে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষে সুবিধাভোগীদের মাঝে সমন্বয়কৃত মূল্যে মাংস হস্তান্তর ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফিজানুর রহমান, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে মাংস বিক্রি তদারকি করেন।

ইউএনও মুসফিকুল আলম হালিম বলেন, ‘গরুর মাংসের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ কিনতে পারেন না। এজন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের সাধ ও সাধ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা জেলা প্রশাসন থেকে সমন্বয় করা হয়েছে।’

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
আরও
- Advertisement -spot_img