রাজু আহাম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে রেলের টিকিটের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধিতে মানববন্ধন করেছে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রেল- নৌ,যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির আয়োজনে বক্তারা ভাড়া না বাড়ানো, রেলের অনিয়ম ও দূর্নীতি তুলে ধরেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭৯৭ শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা করা হয়েছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রভাষক আব্দুল কাদের। বক্তৃতায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি কলামিস্ট নাহিদ হাসান বলেন, ‘দরিদ্রতম জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামবাসী রাজধানীর সাথে একদিকে দূরত্বের কারণে ভুগছে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সাথে যোগাযোগ ফ্রী হওয়ার। এই ভাড়া বৃদ্ধি মুক্তিযুদ্ধের সাথে বেঈমানী।’
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন, ‘মালামাল পরিবহন ও গোডাউনের সাথে রেল বিচ্ছিন্ন করে রেলকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। ৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেল আর তার দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের ওপর।’
সভাপতির বক্তৃতায় আব্দুল কাদের বলেন, ‘পত্রিকায় নিউজ এসেছে, কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে রেলের ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। আর সেই দায় যাত্রীরা কেন বহন করবে? তিনি সারা দেশবাসীকে প্রতিবাদে শামীল হওয়ার আহ্বান জানান।’
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।