ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৃথক দু’টি সংঘর্ষের ঘটনায় বাড়িঘর যৌথ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় সালথা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতব্বরসহ ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত রবিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফরিদপুর শহর ও সালথা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গট্টি ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. সৈয়দ আলী শেখ (৫০) বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওয়াদুদসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একই রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপর ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
এব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রোববার দিবাগত রাতে মোট ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সালথার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়ার ঘটনায় ৩০ জন ও মাঝারদিয়া গ্রামের ঘটনায় অপর ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, সালথায় পৃথক দু’টি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে
তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই দু’টি ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই দুই মামলায় জড়িত বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।