সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় এপারে কক্সবাজারের টেকনাফের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে চিংড়ি ঘেরে যেতে না পারায় আয় উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে চাষিদের। সময়মতো ঘেরে মাছের পরিচর্যা ও মাছ তুলতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন চাষিরা।
এই বছর ৫ লাখ টাকার বাগদা চিংড়ি মাছ পোনা (মাছের বাচ্চা) দিয়েছি। মাছও বেশ বড় হয়েছে। ৩০টি চিংড়িতে এক কেজি হয় এমন সাইজ হয়েছে। কিন্তু সীমান্তে উত্তেজনার কারণে ঘেরে যেতে পারছি না। এতে বড় ধরনের লোকসানের ঝুঁকিতে আছি।
ঝিমংখালীর চিংড়ি চাষি বলেন, কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের ভেতরে যুদ্ধ চলছে। এতে আমদের সাধারণ মানুষকে সীমান্তের কাছাকাছি চিংড়ি চাষিদের ঘেরে যেতে দিচ্ছে না বিজিবি। আমরা ব্যাংক থেকে অনেক টাকা লোন নিয়ে এসব চিংড়ি চাষ করছি।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, টেকনাফে মোট ৪২৭টি চিংড়ি ঘের আছে। সংশ্লিষ্ট আছেন ৮৪২ জন চাষি। আমরা বিজিবিকে অনুরোধ করেছি অন্তত একজন করে হলেও ঘেরে গিয়ে মাছের পরিচর্যা করার অনুমতি দিতে। না হয় মাছগুলো মরে গেলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে পারে। এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে প্রভাব পড়বে এখানকার জীবন জীবিকা আর অর্থনীতিতে।