শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৪

লংগদুতে সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির তদন্ত শুরু

সোনালী ব্যাংক লংগদু শাখায় দরিদ্র মানুষের নামে ঋণ তুলে আত্মসাতের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এ ছাড়া রাঙামাটিতে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসের তিন সদস্যের কমিটিও তদন্ত শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

উপজেলার ভাসান্ন্যা আদাম ও বগাচতর ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক গরিব ও অসহায় লোকের অজান্তে তাদের নামে দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যাংক ঋণ তোলা হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে ভুক্তভোগীদের কাছে ঋণ পরিশোধের নোটিশ  পৌঁছলে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। 

তাদের নামে হাঁস মুরগি প্রকল্প, শস্য ঋণসহ নানা খাতে ঋণ তোলা রয়েছে। সোমবার সমকালে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। 

ভুয়া ঋণ বাতিলের দাবিতে গত ১৪ জানুয়ারি  লংগদু উপজেলা শহরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, একটি দালাল চক্র সরকারি অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গরিব মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঋণ উত্তোলন করে গ্রাস করেছে। গোটা লংগদু উপজেলায় এ ধরনের জালজালিয়াতি হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, ভাইন্ন্যা আদাম ও বগাচতর ইউনিয়নের ৫০৬ জনের নামে ঋণ রয়েছে। প্রতিজনকে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার ঋণ দেওয়া হয়েছে। 

সূত্র জানায়, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার ঢাকা থেকে লংগদুতে পোঁছেছে। তারা সেখানে এখনও অবস্থান করছেন।  রাঙামাটি প্রিন্সিপাল অফিসের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান,  তাদের তদন্ত কমিটি গত ৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

লংগদু থানার উপপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, এখনও তদন্ত  শেষ হয়নি। ব্যাংক থেকে সর্বমোট কতজনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ও কত টাকার ঋণ রয়েছে, তার স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়নি। 
জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ সমকালকে বলেন, কোনো ভুক্তভোগী পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম তাঁকে জানিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
আরও
- Advertisement -spot_img